অন্যান্য টপিকইসলামিক ঘটনা

একটি ইসলামিক ঘটনা –

গতরাতে আমাদের বাসায় এক অদ্ভুত ঘটনা

ঘটে গেলো। ইউটিউবে বসে আমি বিখ্যাত

দরুদ ইয়া নাবী সালাম আলাইকা

শুনছিলাম।

আর নিজে নিজে সেটি পড়ার চেষ্টা

করছিলাম।আমার সাথে বসে আছে আমার

কেজি টু পড়ুয়া ছোটবোন রুহানী।

মিলাদ আর দরুদ যখন কিছু সময় পার হলো

আমি দেখছি রুহানীর দুচোখ বেয়ে পানি

পড়ছে। রুহানী অঝর ধারায় কাঁদছে তো

কাঁদছেই। আমি ওর কান্না দেখে

জিজ্ঞাসা

করলাম কিরে কাঁদিস কেন? রুহানীর উত্তর

ভাইয়া মিলাদ যখন শুনছিলাম আমার মনে

হচ্ছিলো রাসুল দঃ আমার সামনে দাঁড়িয়ে

আছে। ভাইয়া আমি মদিনায় যাবো, আমার

রাসুলের দঃ রওজা দেখবো।

রুহানীর কান্না থামছেনা, রুহানী একবার

জোর দিয়ে বলছে ইয়া রাসুল আল্লাহ

উনজুর হা’লানা। অর্থাৎ হে রাসুল দঃ

আমার

দিকে তাকিয়ে দেখুন।

কি ভাবছেন রুহানীর এ অবস্থা নিজে

নিজে

তৈরী হয়েছে? মোটেও তা না।

রুহানীকে এমন করে বলতে শিখিয়েছে তার

বেড়ে উঠার পরিবেশ। সে জন্মের পরই

শিখেছে মুহাম্মাদ দঃ তার আদর্শ, তিনি

আল্লাহর বন্ধু এবং তার কাছে চাওয়া

মাত্রই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে

দেন।

রুহানীর পরিবেশ তাকে শিখিয়েছে

নবীকে

ভালোবাসাই মুমিনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।

প্রিয় বন্ধুরা আর কিছু পারুন আর নাই

পারুন। কলিজার টুকরা সন্তানকে সব কিছুর

বিনিময়ে হলেও নবীকে ভালবাসার শিক্ষা

দিন।

হে বন্ধুরা আপনার সন্তান অনেক অনেক

শিক্ষিত? অনেক অনেক জ্ঞান? কিন্তু

দ্বীনের শিক্ষা যদি তাকে দিতে না

পারেন

তবে সে শিক্ষার কোন মূল্য নেই।

রাসুল দঃ বলেছেন মানুষ মৃত্যূর সাথে সাথে

তার সব আমলনামা বন্ধ হয়ে যায় শুধু মাত্র

দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুসন্তান

ব্যতিত।

আসুন সন্তানকে এমন করে গড়ে তুলি যাতে

আপনার মৃত্যূর পরেও এ সন্তান আপনার

মুক্তির কারন হয়।

আসসালাতু ওসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker