খারাপ কিছু দেখা থেকে বিরত থাকুন –
রাতে মোবাইল হাতে নিয়ে খারাপ কিছু দেখার আগে ঘটনাটা একটু পড়ে নিন।
বেশ নাড়া লাগল ঘটনাটা শুনে। অজানা একটা ভয় কাজ করছে।
একটি লোক কা’বা ঘরের গিলাফ ধরে ভীষণ কাঁদছেন আর বলছেন-“ আল্লাহ্ আমি যেন ঈমান নিয়ে মরতে পারি। ঈমান নিয়ে যেন মরতে পারি।“
বার বার একই কথা বলাতে পাশের কেউ একজন প্রশ্ন করলেন- আপনি এমন করে বলছেন কেন? কোন বিশেষ কারণ আছে কি? আমাদের সবার তো এটাই চাওয়া।
লোকটি জবাবে যা বললেন তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মত। তিনি বললেন-
“আমার ভাই তিরিশ বছর ধরে একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের পদে ছিলেন। তিনি আযান দিতেন এবং এর জন্য কোন পারিশ্রমিক নিতেন না। কারণ, পারিশ্রমিক সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকেই নেবেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে কোরান হাতে নিয়ে তিনি বলেছেন- “আমি আজ থেকে এই কোরআনের সব কিছুকে অস্বীকার করলাম।“ (নাউযুবিল্লাহ)
এই কথা বলার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়ে যায়।
হতভম্ব হয়ে সবাই জানতে চাইলেন- এর কারণ কি? তার কি এমন বদ আমল ছিল যার কারণে এমন ভয়ংকর পরিণতি হল?
তার ভাই যা জানাল তা ভীষণ লজ্জাজনক।
মৃত লোকটি যে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিল সে মসজিদের ছাদ থেকে নিচে তাকলে অনেক বাড়ির ভেতরে নজর পড়ত। বাড়ির ভেতরে মহিলারা কাজ করত। অনেক গোপনীয় সময় থাকত। মসজিদের ছাদ থেকে মুয়াজ্জিন প্রায়ই সেসব খেয়াল করত। এমনকি মহিলাদের গোসলের দৃশ্যও খেয়াল করত। (আজকাল ছাদে-উঠতে হয়না। মোবাইল আর ল্যাপটপ কাছে থাকলেই হয়। তাই অতি চালাকির অপশন নেই। মানুষকে ধোঁকা দেয়া খুবই সহজ, তবে আল্লাহ কে নয়। আর শিল্প-সাহিত্যের নামে অশ্লীল নাচ-গানও এর চাইতে আরও ভয়াবহ।)
উপরের ঘটনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, জেনে শুনে পাপ করতে থাকলে ধ্বংস অনিবার্য। মুয়াজ্জিন তো জানত, এটা কত বড় গোনাহের কাজ। তবুও পাপের তোয়াক্কা করেনি। আর তারই শাস্তি চূড়ান্ত ধ্বংস।
তাই আসুন সাবধান হই, যত ছোটই হোক না কেন, পাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করি। অন্তত জানা আছে এমন গোনাহ্ থেকে বেঁচে থাকি। আর, ইলম অনুযায়ী আমল করি। এবং সব সময় তাক্বওয়া অবলম্বন করি৷ আল্লাহ ভীতিই পারে, একজন ব্যক্তিকে পাপ থেকে বাঁচাতে।
হে আল্লাহ!! আমাদের এমন দৃঢ় ঈমান দান করুন যেন পাহাড় সম বিপদের সামনে দাঁড়িয়েও তা অটল আর অবিচল থাকে। মৃত্যুর সময়ে যেন আমরা ঈমানকে সাথে নিয়ে যেতে পারি। সব থেকে যাক, থেকে যাবে সবই। শুধু ঈমান সাথে যাক।
আসুন, ঈমানের হেফাজত করি। তা যে কোন মূল্যেই হোক।
আল্লাহ্ তাওফীক দান করুক।