যারা স্ত্রীর সাথে ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে? তারা জেনে রাখুন।–
একটা ঘটনা বলি। তখন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর রা. এর সময়। একদিন সন্ধ্যার সময়, তখনও পুরোপুরি অন্ধকার নামেনি, খলিফা হযরত ওমর রা. পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তিনি লক্ষ্য করলেন একজন পুরুষ ও মহিলা এমনভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যা ইসলামে সমর্থিত নয়। খলিফার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাদেরকে আঘাত করা শুরু করলেন। তখন, তারা তাদের পরিচয়ে বলল যে, আমরা স্বামী-স্ত্রী। এ কথা শোনার সাথে সাথে খলিফার মধ্যে এক ধরণের অনুশোচনা বোধ হলো। তিনি ফিরে যেয়ে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু আইয়্যুব আনসারী (রা.) এর বাড়িতে গেলেন। তিনি খলিফাকে বসার এবং আরামের ব্যবস্থা করলেন কিন্তু এও লক্ষ্য
করলেন যে তাঁকে খুব বিষন্ন এবং চিন্তিত মনে হচ্ছে। কেন যেন অনুশোচনায় ভুগছেন। সাহস করে খলিফাকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি ঘটনাটি খুলে বললেন। তখন হযরত আবু আইয়্যুব
আনসারী (রা.) খলিফাকে আস্বস্থ করে বললেন, হে আমিরুল মু’মিনুন! আপনি যথার্থই করেছেন। স্বামী-স্ত্রী হলেও এমন কোন আচরণ প্রকাশ্যে (পাবলিক প্লেসে) করা যাবে না যাতে মানুষের
মাঝে সন্ধেহের বা কুধারণার উদ্রেক হয়। স্বামী – স্ত্রীর অনেক সম্পর্কই বৈধ যা তাদের একান্তে হতে হবে। এই
বৈধ সম্পর্ককে অন্যকে দেখানো কিংবা অন্যের সাথে শেয়ার করা ইসলামে হারাম।
সুতারাং বুঝা যাচ্ছে যে, স্বামী-স্ত্রীর একান্তের ছবি, জড়িয়ে ধরে বা অন্য কোন উপায়ের, পাবলিকলি শেয়ার করা বৈধ হবে না বরং হারাম। এটা ছাড়াও অনেকে নিজের বয়প্রাপ্তা মেয়ের সাথে ছবি ফেসবুকে
শেয়ার করেন। মেয়ে বা ছেলে বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাদেরকে একান্তে জড়িয়ে ধরা বা চুমু খাওয়া বৈধ নয়। সেক্ষেত্রে এমন সব ছবি ফেসবুকে দিলে তা নেহাৎই পাপের কারণ হবে। সুতরাং এহেন গর্হিত কাজ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন