ইসলামিক ঘটনাসালাত

দুই পা গোড়ালি সমেত ধৌত করা কি ফরয। জেনে নিন।

৩১৪(৫)। ইবরাহীম ইবনে হাম্মাদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আলী ইবনুল হুসাইন (রহঃ) তাকে (রাবীকে) মুআব্বিয-কন্যা রুবাঈ (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠান। তিনি (রুবাঈ’) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট আসতেন এবং তিনি তাঁকে উযুর পানি দিতেন। রাবী (আবদুল্লাহ) বলেন, অতএব আমি তার নিকট গেলাম এবং তিনি আমার সামনে একটি পাত্র বের করে বলেন, আমি এই পাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উযুর পানি দিতাম। তিনি উযুর শুরুতে তাঁর দুই হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করানোর পূর্বে তিনবার করে ধৌত করতেন, তারপর উযু করতেন। অতএব তিনি তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করেন, তিনবার কুলি করেন, তিনবার নাক পরিষ্কার করেন, তারপর উভয় হাত ধৌত করেন, তারপর সম্মুখভাগ ও পশ্চাদভাগসহ সমস্ত মাথা মসেহ করেন, তারপর উভয় পা ধৌত করেন।

রুবাঈ (রাঃ) বলেন, আমার নিকট তোমার চাচাতো ভাই অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রহঃ) এসেছিলেন। আমি তাকেও এই হাদীস শুনিয়েছি। তিনি বলেন, আমি কিতাবে দুইবার ধৌত করা ও দুইবার মসেহ করার কথা পেয়েছি। আমি রুবাঈ (রাঃ)-কে বললাম, এই পাত্রে কতটুকু পানি ধরে? তিনি বলেন, হাশেমী গোত্রের এক মুদ্দ অথবা শোয়া এক মুদ্দ পরিমাণ। আল-আব্বাস ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, এই মহিলা সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুলি ও নাক পরিষ্কার করার পূর্বে মুখমণ্ডল ধৌত করার দ্বারা উযু শুরু করেছেন। আর বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ, যাদের মধ্যে রয়েছেন উসমান (রাঃ) ও আলী (রাঃ), তারা বলেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুখমণ্ডল ধৌত করার পূর্বে কুলি করা ও নাক পরিষ্কার করার দ্বারা উযু আরম্ভ করেন। লোকজন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের কথাই গ্রহণ করেছে।

بَابُ وُجُوبِ غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ وَالْعَقِبَيْنِ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمَّادٍ ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ ، نَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ ؛ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ أَرْسَلَهُ إِلَى الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ يَسْأَلُهَا ، عَنْ وُضُوءِ رَسُولِ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – ، فَقَالَتْ : إِنَّهُ كَانَ يَأْتِيهِنَّ ، وَكَانَتْ تُخْرِجُ لَهُ الْوَضُوءَ ، قَالَ : – فَأَتَيْتُهَا فَأَخْرَجَتْ إِلَيَّ إِنَاءً ، فَقَالَتْ : فِي هَذَا كُنْتُ أُخْرِجُ الْوَضُوءَ لِرَسُولِ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – فَيَبْدَأُ فَيَغْسِلُ يَدَيْهِ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهُمَا ثَلَاثًا ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ ثَلَاثًا ، ثُمَّ يُمَضْمِضُ ثَلَاثًا ، وَيَسْتَنْشِقُ ثَلَاثًا ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِرَأْسِهِ مُقْبِلًا وَمُدْبِرًا ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ، قَالَتْ : وَقَدْ أَتَانِي ابْنُ عَمٍّ لَكَ – تَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ – فَأَخْبَرْتُهُ ، فَقَالَ : مَا أَجِدُ فِي الْكِتَابِ إِلَّا غَسْلَتَيْنِ وَمَسْحَتَيْنِ ، فَقُلْتُ لَهَا : فَبِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ الْإِنَاءُ ؟ قَالَتْ : قَدْرَ مُدٍّ بِالْهَاشِمِيِّ ، أَوْ مُدٍّ وَرُبُعٍ . قَالَ : الْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ : هَذِهِ الْمَرْأَةُ حَدَّثَتْ ، عَنِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – أَنَّهُ بَدَأَ بِالْوَجْهِ قَبْلَ الْمَضْمَضَةِ وَالِاسْتِنْشَاقِ ، وَقَدْ حَدَّثَ أَهْلُ بَدْرٍ ، مِنْهُمْ عُثْمَانُ ، وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ بَدَأَ بِالْمَضْمَضَةِ وَالِاسْتِنْشَاقِ قَبْلَ الْوَجْهِ ، وَالنَّاسُ عَلَيْهِ

]]>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker