অন্যান্য টপিকনবীদের জীবনী

উহুদের যুদ্ধ পার্ট ৩

আকস্মিক যুদ্ধাবস্থা মোকাবেলার প্রস্তুতি

এরপর মদীনায় সাধারণ সামরিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে গেল। যে কোন আকস্মিক আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে জনগণ সদাসর্বদা রণসাজে সজ্জিত হয়ে থাকতে লাগলেন। এমনকি সালাতের সময়েও তাঁরা অস্ত্র-শস্ত্র সরিয়ে রাখতেন না।

এদিকে আনসারদের এক ক্ষুদ্র বাহিনী, যাদের মধ্যে সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ), উসায়েদ ইবনু হুযায়ের (রাঃ) এবং সা‘দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) ছিলেন, এরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে পাহারা দেয়ার কাজে নিয়োজিত হয়ে যান।

তারা অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ঘরের দরজার উপর অবস্থান নিয়ে রাত্রি অতিবাহিত করতেন।

আরো কিছু সংখ্যক বাহিনী মদীনার বিভিন্ন প্রবেশ পথে নিয়োজিত হয়ে যান এ আশঙ্কায় যে, না জানি অসতর্ক অবস্থায় আকস্মিক কোন আক্রমণের শিকার হতে হয়।

অন্য কিছু সংখ্যক বাহিনী শত্রুদের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে গোয়েন্দাগিরির কাজ শুরু করে দেন।

মদীনার প্রান্তদেশে মক্কা সেনা বাহিনী

এদিকে মক্কা সেনাবাহিনী সুপ্রসিদ্ধ রাজপথ দিয়ে চলতে থাকে। যখন তারা আবওয়া নামক স্থানে পৌঁছে তখন আবূ সুফইয়ানের স্ত্রী হিন্দা বিনতু ‘উতবাহ এ প্রস্তাব দেয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাতার সমাধি উৎপাটন করা হোক। কিন্তু এর দরজা খুলে দেয়ার কঠিন পরিণামের কথা চিন্তা করে সেনাবাহিনী তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।

এরপর এ সেনাবাহিনী তাদের সফর অব্যাহত রাখে এবং শেষ পর্যন্ত মদীনার নিকটবর্তী হয়ে প্রথমে ‘আকীক, নামক উপত্যকা অতিক্রম করে। তারপর কিছুটা ডান দিকে বাঁকিয়ে উহুদের নিকটবর্তী ‘আয়নাইন’ নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে, যা মদীনার উত্তরে ‘কানাত’ উপত্যকার ধারে অবস্থিত, এটা ছিল তৃতীয় হিজরীর ৬ই শাওয়াল, শুক্রবারের ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker